জি বাংলা প্রযোজিত একটি বায়োগ্রাফিক্যাল ড্রামা
বিডি সিরিয়াল প্লাস অ্যাপে দেখুন ও ডাউনলোড করুন রানী রাসমণি সিরিয়ালের সকল পর্ব।
এক নজরে কিছু তথ্য
"রানী রাসমণি" সিরিয়াল সম্পর্কে বিস্তারিত
রানী রাসমণি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী, আইকনিক এবং ঐতিহাসিক বায়োগ্রাফিক্যাল ড্রামা। ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার কিংবদন্তী নারী, জানবাজারের রানী রাসমণি এবং তার জামাতা শ্রী রামকৃষ্ণের জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ধারাবাহিকটি অকল্পনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছিল।
গল্পের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
গল্পটি শুরু হয় বালক বয়সের গদাধর চট্টোপাধ্যায় (পরবর্তীতে শ্রী রামকৃষ্ণ) এবং সাধারণ মেয়ে রাসমণির জীবন দিয়ে। এরপর দেখানো হয় রাসমণির বিয়ে, তার রানী হয়ে ওঠা এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী সত্তা। তার জীবনের সবচেয়ে বড় কীর্তি, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা, এবং সেখানে যুবক গদাধরকে পূজারী হিসেবে নিয়োগ করা ছিল গল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এরপর থেকে গল্পটি ধীরে ধীরে শ্রী রামকৃষ্ণের সাধনা, তার 'যত মত তত পথ' দর্শন, সারদা মায়ের আগমন এবং স্বামী বিবেকানন্দের মতো ব্যক্তিত্বদের উপর তার প্রভাবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
কিংবদন্তী অভিনয় ও চরিত্র
এই সিরিয়ালের আকাশছোঁয়া সাফল্যের মূল কাণ্ডারী হলেন এর অভিনয়শিল্পীরা। রানী রাসমণির চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়-এর অভিনয় ছিল অবিশ্বাস্য এবং কিংবদন্তীতুল্য। এত কম বয়সে এমন একটি পরিণত এবং শক্তিশালী চরিত্রে তার অভিনয় अभূতপূর্ব। শ্রী রামকৃষ্ণের চরিত্রে গৌরব চ্যাটার্জী-র অভিনয়ও ছিল অনবদ্য এবং বহুল প্রশংসিত। তার অভিনয় চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলেছিল।
ঐতিহাসিক সাফল্যের কারণ
রানী রাসমণি এবং শ্রী রামকৃষ্ণ—দু'জনেই বাঙালির কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং আবেগের নাম। তাদের জীবনের এমন একটি বিস্তারিত এবং যত্ন সহকারে নির্মিত বায়োগ্রাফি দর্শকদের মনে গভীর আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহাসিক আবেদন তৈরি করেছিল। দিতিপ্রিয়া রায়ের অবিস্মরণীয় অভিনয় ছিল এর জনপ্রিয়তার প্রধান চালিকাশক্তি। এটি শুধু একটি সিরিয়াল ছিল না, এটি ছিল একটি ভক্তি ও অনুপ্রেরণার স্রোত, যা এটিকে বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা ধারাবাহিকে পরিণত করেছে।