জি বাংলা প্রযোজিত একটি মিউজিক্যাল ড্রামা
বিডি সিরিয়াল প্লাস অ্যাপে দেখুন ও ডাউনলোড করুন কৃষ্ণকলি সিরিয়ালের সকল পর্ব।
এক নজরে কিছু তথ্য
"কৃষ্ণকলি" সিরিয়াল সম্পর্কে বিস্তারিত
কৃষ্ণকলি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী এবং ঐতিহাসিক সামাজিক-মিউজিক্যাল ড্রামা। শ্যামবর্ণ গায়ের রঙের জন্য প্রতিনিয়ত অপমানিত হওয়া এক মেয়ের ভজন শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠা এবং তার জীবন সংগ্রামের এক অবিশ্বাস্য গল্প নিয়ে নির্মিত এই ধারাবাহিকটি অকল্পনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
গল্পের যুগান্তকারী প্রেক্ষাপট
গল্পের নায়িকা শ্যামা, যার গায়ের রঙ কালো কিন্তু তার গানের গলা কোকিলের মতো মিষ্টি। সে কৃষ্ণের ভক্ত এবং অসাধারণ ভজন গায়। ভাগ্যচক্রে, তার বিয়ে হয় চৌধুরী পরিবারের ছেলে নিখিলের সাথে, যে শ্যামার গান এবং তার ভালো মনের প্রেমে পড়ে। কিন্তু নিখিলের পরিবার এবং সমাজ শ্যামাকে তার চেহারার জন্য মেনে নিতে পারে না। তাকে পদে পদে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়। সমস্ত বাধা-বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্রকে জয় করে শ্যামার 'কৃষ্ণকলি' থেকে একজন সফল শিল্পী হয়ে ওঠার এই যাত্রা এবং নিখিলের সাথে তার অটুট ভালোবাসার সম্পর্কই ছিল গল্পের মূল উপজীব্য।
কিংবদন্তী অভিনয় ও চরিত্র
এই সিরিয়ালের আকাশছোঁয়া সাফল্যের মূল কাণ্ডারী হলেন শ্যামার আইকনিক চরিত্রে অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা (রায়)। তার অভিনয় চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলেছিল। নিখিলের চরিত্রে নীল ভট্টাচার্য-র অভিনয়ও ছিল অনবদ্য। 'নিখিল-শ্যামা' জুটি বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পার্শ্বচরিত্রে থাকা প্রত্যেক অভিনেতাও তাদের অভিনয়ের গুণে উজ্জ্বল।
ঐতিহাসিক সাফল্যের কারণ
'কৃষ্ণকলি'-র জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ ছিল 'বর্ণবৈষম্য'-এর মতো একটি শক্তিশালী সামাজিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে এর গল্প। শ্যামা চরিত্রটি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যা অগণিত দর্শককে অনুপ্রাণিত করেছে। এর সাথে ভজন এবং সঙ্গীতের সুন্দর ব্যবহার, নিখিল-শ্যামার মিষ্টি প্রেম এবং টানটান নাটকীয়তা এটিকে টিআরপি তালিকায় লাগাতার শীর্ষে রাখে এবং এটি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘতম এবং সফল ধারাবাহিকে পরিণত হয়।