স্টার জলসা প্রযোজিত একটি ঐতিহাসিক ড্রামা
বিডি সিরিয়াল প্লাস অ্যাপে দেখুন ও ডাউনলোড করুন আমি সিরাজের বেগম সিরিয়ালের সকল পর্ব।
এক নজরে কিছু তথ্য
"আমি সিরাজের বেগম" সিরিয়াল সম্পর্কে বিস্তারিত
আমি সিরাজের বেগম স্টার জলসার একটি ব্যয়বহুল ঐতিহাসিক ড্রামা, যা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং তার প্রিয় বেগম লুৎফুন্নেসার অমর প্রেমকাহিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল। [19] অষ্টাদশ শতকের বাংলা, রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসঘাতকতার মাঝে একটি প্রেমের টিকে থাকার লড়াই এই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ ছিল।
গল্পের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
গল্পটি শ্রী পারাবতের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। [2] এর কাহিনী শুরু হয় নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর সিরাজের মসনদ আরোহণের সময় থেকে। একদিকে ব্রিটিশদের crescente ক্ষমতা, অন্যদিকে খালা ঘসেটি বেগম এবং প্রধান সেনাপতি মীরজাফরের মতো ঘনিষ্ঠজনদের বিশ্বাসঘাতকতা—এই সবের মাঝে সিরাজের জীবনে আসেন বাঁদী লুৎফা। [6] তাদের প্রেম, বিয়ে এবং ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক সংকটের সময় লুৎফার নবাবের পাশে ছায়ার মতো থেকে তাকে মানসিক শক্তি জোগানোর গল্পই এই সিরিয়ালের উপজীব্য। [2, 25] এটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি বাংলার ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালের প্রতিচ্ছবি।
চরিত্র ও অভিনয়
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার চরিত্রে শন ব্যানার্জী এবং লুৎফুন্নেসা বেগমের চরিত্রে পল্লবী দে-র অভিনয় দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। [6] শন তার অভিনয়ের জন্য পুরস্কারও লাভ করেন। ঘসেটি বেগমের ভূমিকায় চাঁদ্রেয়ী ঘোষ এবং মীরজাফরের চরিত্রে বাদশা মৈত্র-র মতো বলিষ্ঠ অভিনেতাদের উপস্থিতি সিরিয়ালটিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছিল। [2, 17] भव्य সেট, ডিটেলিং-এ ভরা পোশাক এবং গহনা নবাবী আমেজকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিল। [19]
কেন দর্শকদের পছন্দের ছিল?
বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত এবং বিতর্কিত চরিত্রগুলির একটিকে নিয়ে নির্মিত এই সিরিয়াল প্রথম থেকেই দর্শকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি করে। भव्य আয়োজন, সিনেমাটিক উপস্থাপন এবং শক্তিশালী আবেগময় গল্প এটিকে সাধারণ পারিবারিক নাটকের থেকে আলাদা করেছিল। [24] সিরাজ ও লুৎফার ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনী এবং বাংলার ইতিহাসের প্রতি দর্শকদের চিরকালীন আকর্ষণ এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, যদিও প্রত্যাশার তুলনায় কম টিআরপি-র কারণে সিরিয়ালটি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। [24]